দ্রবণ প্রকৃতি এই বিষয়টি এইচএসসি (একাদশ-দ্বাদশ) তথা HSC (11-12) এর “অধ্যায় ৩য় – গুনগত রসায়ন (Chapter 3 – Quantitative Chemistry)” এর পাঠ। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার রসায়ন পাঠ্যক্রমেও রয়েছে।
Table of Contents
দ্রবণ প্রকৃতি
১. প্রকৃত দ্রবণ :
প্রকৃত দ্রবণ যখন কো কোন দ্রাবকে কোকো দ্রবের কণাগুলো 108 cm ব্যাসের কিংবা আরও ক্ষুদ্র কণায় বিভাজিত হয়ে দ্রাবকের সঙ্গে মিশে স্বচ্ছ, সমসত্ত্ব ও স্থায়ী মিশ্রণ উৎপন্ন করে। মিশ্রণ থেকে দ্রবের কণাগুলো সহজেই ফিল্টার কাগজ বা পাচমেন্ট কাগজের মধ্য দিয়ে খুব সহজে যেতে পারে তখন সেই স্বচ্ছ, সমসত্ত্ব ও স্থায়ী মিশ্রণকে প্রকৃত -দ্রবণ বলে। যেমন— পানিতে সাধারণ লবণ, চিনি, ইউরিয়া ইত্যাদির দ্রবণ।
বৈশিষ্ট্য:
১.প্রকৃত দ্রবণের দ্রবের কণাগুলোর ব্যাস 10 cm বা এর চেয়ে আরো ছোট হয়।
২.প্রকৃত দ্রবণের দ্রবের কণাগুলোকে খালি চোখে সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্র, এমনকি অতি অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেওদেখা যায় না।
৩.প্রকৃত দ্রবণের দ্রবের কণাগুলো সাধারণ ফিল্টার কাগজ বা পার্চমেন্ট কাগজের মধ্য দিয়ে সহজেই যেতে পারে।
৪.প্রকৃতি দ্রবণ স্বচ্ছ, সমসত্ত্ব ও স্থায়ী হয়।
৫.প্রকৃতি দ্রবণের বর্ণ দ্রাবকের বর্ণের ওপর নির্ভর করে। দ্রাবক বর্ণহীন হলে দ্রবণের বর্ণ দ্রবের কণার বর্ণের ওপরনির্ভর করে।।
৬.প্রকৃত দ্রবণে আলোকরশি চালনা করলে আলোকরশ্মির কোনো প্রতিফলন বা বিচ্ছুরণ ঘটে না।
৭. প্রকৃত -দ্রবণ ব্রাউনীয় গতি প্রদর্শন করে না।
৮. প্রকৃতি দ্রবণের দ্রব্যের কণাগুলো দ্রুত ব্যাপিত হয় ।
২. কলয়েড দ্রবণ :
যখন কোনো দ্রাবকের মধ্যে কোনো দ্রবের কণাগুলো 107cm থেকে 10-5 cm এর ব্যাসের ক্ষুদ্র কণায় বিভাজিত হয়ে অসমসত্ত অসমসত্ত্ব কিন্তু স্থায়ী মিশ্রণ উৎপন্ন করে তখন সেই মিশ্রণকে কলয়েড দ্রবণ বলে। কলয়েড দ্রবণে মিশ্রণ থেকে বের কণাগুলো ফিল্টার কাগজের মধ্য দিয়ে যেতে পারে কিন্তু পার্চমেন্ট কাগজ বা প্রাণীজ বা উদ্ভিজ্জ ইত্যাদি অর্ধভেদ্য পর্দার মধ্য দিয়ে যেতে পারে না। যেমন- স্টার্চ, জিলেটিন, গম, অ্যালবুমিন, প্রোটিন ইত্যাদি।
বৈশিষ্ট্য:
১. কলয়েড দ্রবণে দ্রবের কণাগুলোর ব্যাস 107 cm থেকে 10-5 cm এর মধ্যে হয়।
২. কলয়েড দ্রবণে দ্রবের কণাগুলোকে খালি চোখে বা সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায় না কিন্তু অতি অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায়।
৩.কলয়েড দ্রবণের দ্রবের কণাগুলো সাধারণ ফিল্টার কাগজের মধ্য দিয়ে যেতে পারে কিন্তু পার্চমেন্ট কাগজের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না।
৪.কলয়েড অস্বচ্ছ, অসমমত্ব কিন্তু স্থায়ী প্রকৃতির দ্রবণ হয়।কলয়েড দ্রবণের বর্ণ কলয়েড কণার আকারের ওপর নির্ভর করে।
৫.কলয়েড দ্রবণের মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মি পাঠালে আলোকরশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটে। এই ঘটনাকে টিন্ডাল প্রভাব বলে।
৬. কলয়েড দ্রবণ ব্রাউনীয় গতি প্রদর্শন করে।
৭. কলয়েড দ্রবণের কণাগুলো ধীরে ধীরে ব্যাপিত হয়।
দ্রাব্যতা – ২ ( খাঁচা তত্ত্ব, দ্রবণ প্রকৃতি) :
আরও পড়ুন…