আইসোটপ, আইসোবার এবং আইসোটন এই বিষয়টি “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” এর, “পলিটেকনিক” টেকনোলোজিগুলোর, রসায়ন (৬৫৯১৩) সাবজেক্ট এর অংশ। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার রসায়ন পাঠ্যক্রমেও রয়েছে।
Table of Contents
আইসোটপ, আইসোবার এবং আইসোটন
আইসোটোপ কাকে বলে?
আইসোটোপ হল একই মৌলিক পদার্থের ভিন্ন ভিন্ন পরমাণু যাদের পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন। অর্থাৎ, একই মৌলের পরমাণুগুলির মধ্যে যদি নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন হয়, তাহলে সেগুলিকে আইসোটোপ বলা হয়।
আইসোটোপের উদাহরণ
- কার্বনের তিনটি আইসোটোপ রয়েছে: কার্বন-১২, কার্বন-১৩ এবং কার্বন-১৪।
- অক্সিজেনের তিনটি আইসোটোপ রয়েছে: অক্সিজেন-১৬, অক্সিজেন-১৭ এবং অক্সিজেন-১৮।
- হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপ রয়েছে: হাইড্রোজেন-১, হাইড্রোজেন-২ এবং হাইড্রোজেন-৩।
আইসোটোপের ব্যবহার
- কার্বন-১৪-এর ব্যবহার জীবাশ্মের বয়স নির্ণয়ে করা হয়।
- অক্সিজেন-১৮ এবং অক্সিজেন-১৬-এর ব্যবহার জলের ঘনত্ব পরিমাপ করতে করা হয়।
- হাইড্রোজেন-৩ এবং হাইড্রোজেন-১-এর ব্যবহার পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে করা হয়।
আইসোবার কাকে বলে
যে সকল মৌলের পরমাণুর ভর সংখ্যা সমান কিন্তু পারমাণবিক সংখ্যা বিভিন্ন, তাদের আইসোবার (Isobar) বলে।
বিভিন্ন পারমাণবিক সংখ্যা কিন্তু একই ভর সংখ্যা বিশিষ্ট পরমাণুগুলিকে আইসোবার বা সমভর বলে।
আইসোবারের বৈশিষ্ট্য
- আইসোবারগুলির ভর সংখ্যা একই হলেও পারমাণবিক সংখ্যা অর্থাৎ প্রোটন সংখ্যা আলাদা হয়।
- আইসোবার গুলি হল ভিন্ন মৌলের পরমাণু।
- আইসোবার গুলির ভৌত এবং রাসায়নিক ধর্ম গুলি আলাদা হয়।
- আইসোবার গুলি পর্যায় সারণিতে বিভিন্ন গ্রুপে অবস্থান করে।
আইসোবার এর উদাহরণ
- 18Ar40 এবং 20Ca40 হলো পরস্পর আইসোবার। কারণ Ar এবং Ca এর পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 18 ও 20। কিন্তু এদের ভর সংখ্যা অর্থাৎ নিউট্রন ও প্রোটন সংখ্যা সমষ্টি 40 ।
- 19K40 এবং 20Ca40 এরা পরস্পর আইসোবার কারণ এদের উভয়ের ভর সংখ্যা 40 ।
- 1H3 ও 2He3 পরস্পর আইসোবার। যেখানে হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের ভর সংখ্যা 3।
- 6C14 এবং 7N14 আইসোবার এর উদাহরণ। কার্বন ও নাইট্রোজেনের পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 6 ও 7। কিন্তু এদের ভর সংখ্যা 14।
- 51Sb123 এবং 52Te123 দুটি আইসোবার।
- 22Ti50, 23V50 এবং 24Cr50 হল আইসোবার।
- 88Ra228 , 89Ac228 এবং 90Tb228 তিনটি আইসোবারের উদাহরণ।
- 82Pb210 , 83Bi210 এবং 84Po210 পরস্পর আইসোবার।
আইসোটোন (isotones) কি?
যেসব মৌল বা মৌলিক পদার্থের নিউট্রন সংখ্যা সমান হয় তবে, প্রোটন এবং ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়, সেসব মৌলকে একে অপরের আইসোটোন বলা হয়।
***আইসোটোন= নিউট্রন সমান, ভর ভিন্ন; পৃথক মৌল***
যেমনঃ Cl-37 (ক্লোরিন), Ar-39 (আর্গন), এর প্রত্যেকের নিউট্রন সংখ্যা 20
- Cl(ক্লোরিন), প্রোটন সংখ্যা 17;
- Ar(আর্গন), প্রোটন সংখ্যা 19;
অর্থাৎ, এই দুটি মৌলের নিউট্রন সংখ্যা একই হওয়া স্বত্ত্বেও প্রোটন সংখ্যা ও ভর সংখ্যা ভিন্ন, ফলে এরা পরষ্পরের আইসোটন।
আইসোটপ, আইসোবার এবং আইসোটন নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও পড়ুন…