আণবিক সংকেত এই বিষয়টি “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” এর, “পলিটেকনিক” টেকনোলোজিগুলোর, রসায়ন (৬৫৯১৩) সাবজেক্ট এর অংশ। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার রসায়ন পাঠ্যক্রমেও রয়েছে।
Table of Contents
আণবিক সংকেত
আনবিক সংকেত কাকে বলে?
কোনো একটি মৌল বা যৌগে বিদ্যমান মৌলগুলোর পরমাণু সংখ্যা ও প্রতীক যে সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ পায়, তাকে আনবিক সংকেত বলে। আনবিক সংকেত মৌল বা যৌগের অণুতে বিভিন্ন ধরনের মৌলের পরমাণুর সংখ্যাকে প্রতীকের সাহায্যে প্রকাশ করে।
আনবিক সংকেতের উদাহারন
আমরা সবাই পানি পান করি। এই পানির আনবিক সংকেত হচ্ছে H2O । এই আনবিক সংকেত দ্বারা বুঝা যায় যে, পানিতে ২ টি হাইড্রোজেন পরমাণু এবং ১ টি অক্সিজেন পরমাণু আছে। তাছাড়া, পানির আনবিক সংকেত তৈরিতে হাইড্রোজেনের প্রতীক H এবং অক্সিজেনের প্রতীক O দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। একইভাবে, চিনির আনবিক সংকেত C6H12O6 দ্বারা বুঝায় যে, চিনিতে ৬ টি কার্বন, ১২ টি হাইড্রোজেন এবং ৬ অক্সিজেন পরমাণু আছে।
ক্লোরোপিকরিন এর আনবিক সংকেত হচ্ছে CCl3NO2
কাঁচ বা গ্লাসের আনবিক সংকেত হচ্ছে SiO2
আনবিক সংকেত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হল
- আনবিক সংকেত হচ্ছে একটি মৌল বা যৌগের প্রত্যেকটি মৌলের পরমাণুর সংখ্যা প্রকাশক।
- মৌল বা যৌগের পরমাণু সংখ্যা ঐ মৌল বা যৌগের আনবিক সংকেত দ্বারা প্রকাশ ঘটে।
- আনবিক সংকেতের অপর নাম হচ্ছে রাসায়নিক সংকেত।
- আনবিক সংকেত দিয়ে একটি মৌল বা যৌগের রাসায়নিক সংকেত বুঝা যায়। মৌল বা যৌগের গঠন জানার জন্য ঐ মৌল বা যৌগের গাঠনিক সংকেত জানতে হবে।
- রাসায়নিক বিক্রিয়ায় আনবিক সংকেত ব্যবহার করা যায়।
আণবিক সংকেত ও গাঠনিক সংকেত
একটি মৌল বা যৌগের অণুতে যে যে ধরনের মৌলের পরমাণু থাকে তাদের প্রতীক এবং যে মৌলের পরমাণু যতটি থাকে সেই সকল সংখ্যা দিয়ে প্রকাশিত সংকেতকে আণবিক সংকেত বা রাসায়নিক সংকেত বলে। এ সম্পর্কে তোমরা ইতোমধ্যে জেনেছো। আবার একটি অণুতে মৌলের পরমাণুগুলো যেভাবে সাজানো থাকে প্রতীক এবং বন্ধনের মাধ্যমে তা প্রকাশ করাকে গাঠনিক সংকেত বলে। যেমন তিনটি কার্বন (C) পরমাণু আটটি হাইড্রোজেন (H) পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে প্রোপেন (C3Hg) অণু গঠিত হয়। প্রোপেনের C3Hg এই সংকেতটিকে আণবিক সংকেত বা রাসায়নিক সংকেত বলে।
আবার উক্ত যৌগে কার্বন পরমাণু তিনটি একে অপরের সাথে শিকল আকারে যুক্ত হয় এবং অবশিষ্ট যোজনীগুলো হাইড্রোজেন দ্বারা পূর্ণ হয়ে প্রতিটি কাবর্নের যোজনী 4 হয়। নিচের চিত্রে প্রোপেনের গাঠনিক সংকেত দেখানো হলো:
H H H
H-C-C-C-H
H H H
আবার পানির আণবিক সংকেত H,O, অতএব এর গাঠনিক সংকেত হবে
O
H H
মিথেনের আণবিক সংকেত CH4, অতএব মিথেনের গাঠনিক সংকেত হবে
H
H-C-H
H
কার্বন-কার্বন ও কার্বন-হাইড্রোজেনের মধ্যে অবস্থিত প্রতিটি রেখা হলো একেকটি বন্ধন। এগুলো সমযোজী বন্ধন। সমযোজী বন্ধন সম্পর্কে এ অধ্যায়েই জানতে পারবে। গাঠনিক সংকেতের মাধ্যমে যৌগের অণুতে কোন পরমাণু কতটি করে আছে এবং তারা একে অপরের সাথে কীভাবে যুক্ত আছে তা জানা যায় ।
রাসায়নিক সমীকরণ নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও পড়ুন…