আর্দ্র বিশ্লেষণ ও প্রশমন বিক্রিয়া এই বিষয়টি “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” এর, “পলিটেকনিক” টেকনোলোজিগুলোর, রসায়ন (৬৫৯১৩) সাবজেক্ট এর অংশ। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার রসায়ন পাঠ্যক্রমেও রয়েছে।
Table of Contents
আর্দ্র বিশ্লেষণ ও প্রশমন বিক্রিয়া
আর্দ্র বিশ্লেষণ
আর্দ্র বিশ্লেষণ (/haɪˈdrɒlɪsɪs/) হলো এমন রাসায়নিক বিক্রিয়া যেখানে এক অণু পানি কোনো রাসায়নিক যৌগের এক বা একাধিক রাসায়নিক বন্ধনকে ভেঙে ফেলে। আর্দ্র বিশ্লেষণ শব্দটি প্রতিস্থাপন এবং অপসারণ বিক্রিয়ায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এসব বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে পানি হলো নিউক্লিওফিল।
জৈব আর্দ্র বিশ্লেষণ হলো জৈব অণুগুলোর ভাঙন, যেখানে একটি পানির অণু একটি বৃহত্তর অণুর বন্ধনের পৃথকীকরণ কে প্রভাবিত করে। যখন আর্দ্র বিশ্লেষণ দ্বারা একটি কার্বোহাইড্রেটের উপাদান চিনির অণুতে ভেঙে যায় (যেমন, সুক্রোজকে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজে ভেঙে ফেলা হয়) তখন এটিকে স্যাকারিফিকেশন হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
আর্দ্র বিশ্লেষণ বিক্রিয়াকে ঘনীভবন বিক্রিয়ার বিপরীত হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। যেখানে দুটি অণু একসাথে একটি বৃহত্তর অণুতে পরিণত হয় এবং একটি পানির অণু বের করে দেয়। এইভাবে আর্দ্র বিশ্লেষণ, বন্ধন ভাঙার জন্য পানি যোগ করে এবং ঘনীভবন বিক্রিয়া পানি অপসারণ করে যৌগকে ঘনীভূত করে।
আর্দ্র বিশ্লেষণ এর প্রকারভেদ
আর্দ্র বিশ্লেষণ একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া যেখানে কোনো পদার্থে পানির একটি অণু যোগ করা হয়। কখনও কখনও এই সংযোজন পদার্থ এবং পানির অণু উভয়কেই দুটি ভাগে বিভক্ত করে। এই ধরনের বিক্রিয়ায়, লক্ষ্য অণুর একটি টুকরো হাইড্রোজেন আয়ন অর্জন করে এবং যৌগের একটি রাসায়নিক বন্ধন ভেঙে দেয়। লবণ
- এস্টার এবং অ্যামাইড
- অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট
- পলিস্যাকারাইড
- জলীয় ধাতব আয়ন

প্রশমন বিক্রিয়া
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার এসিড ও ক্ষার যুক্ত হয়ে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। এই বিক্রিয়াকে এসিড-ক্ষার বিক্রিয়াও বলে। বিক্রিয়া তাপ উৎপাদী বা তাপহারী, উভয় প্রকারেরই হতে পারে। সাধারণত এসিড বা ক্ষারের দুর্বলতা বা সবলতার উপর তা নির্ভরশীল। প্রশমন বিক্রিয়ায় দর্শক আয়ন উপস্থিত থাকে। প্রশমন বিক্রিয়া মূলত এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়া। এসিড ও ক্ষার উভয়ই তীব্র হলে এই তাপের মান ΔH = -57.34 Kj।
- NaOH + HCl = NaCl + H2O; ΔH = -57.34 Kj
দৈনন্দিন জীবনে প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
যেমনঃ-
পরিপাকে ঃ পরিপাকের প্রয়োজনে পাকস্থলীতে এসিড সৃষ্টি হয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত এসিড পাকস্থলিতে এসিড সৃষ্টি করে। এ থেকে পরিত্রানের জন্য মৃদু ক্ষার যেমন ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রো অক্সাইড সেবন করা হয়।
দাঁতের যত্নে ঃ মানুষের মুখে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের মুখে লেগে থাকা খাবার খায় এবং এসিড উত্পন্ন করে। এই এসিড দাঁতের এনামেলকে আক্রমন করে এবং দাঁতের ক্ষয় হয়। আমরা যখন দাঁত ব্রাশ করি তখন টুথপেস্টের ক্ষার মুখের এসিডকে প্রশমিত করে। ফলে দাঁতের সূরক্ষা হয়।
কেক তৈরীতে ঃ কেক তৈরীতে বেকিং পউডার ব্যবহার করা হয়। এতে এসিড ও ক্ষার দুটোই উপস্থিত থাকে। ক্ষার জাতীয় পদার্থ সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট এবং টাইটারিক এসিডের শুষ্ক মিশ্রণ হলো বেকিং পাউডার। শুষ্ক অবস্থায় এদের মধ্যে কোনো বিক্রিয়া হয় না। কেক চুলায় দিলে উত্তাপে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের উত্পাদন বৃদ্ধি ও আয়তন সম্প্রসারণ ঘটে। ফলে কেক ফুলে এবং নরম হয়।
আর্দ্র বিশ্লেষণ ও প্রশমন বিক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত ঃ
