তাপ উৎপাদী ও তাপহারী বিক্রিয়া এই বিষয়টি “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” এর, “পলিটেকনিক” টেকনোলোজিগুলোর, রসায়ন (৬৫৯১৩) সাবজেক্ট এর অংশ। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার রসায়ন পাঠ্যক্রমেও রয়েছে।
তাপ উৎপাদী ও তাপহারী বিক্রিয়া
তাপোৎপাদী বিক্রিয়া
একটি তাপোৎপাদী বিক্রিয়া হলো এমন ”এক বিক্রিয়া যার জন্য সামগ্রিক স্ট্যান্ডার্ড এনথালপি পরিবর্তন ΔH এর মান ঋণাত্মক হয়ে থাকে ।” তাপোৎপাদী বিক্রিয়া সাধারণত তাপ প্রকাশ করে এবং শক্তিশালী বন্ধনগুলির সাথে দুর্বল বন্ধনসমূহ বন্ধন প্রতিস্থাপন করে । শব্দটি প্রায়শই বাহ্যিক বিক্রিয়ার সাথে বিভ্রান্ত করা হয়ে থাকে, যা আইইউপিএসি সঙ্গায়িত করেছে “… এমন একটি বিক্রিয়া যার জন্য সামগ্রিক গিবস মুক্ত শক্তির পরিবর্তন ΔG ঋণাত্মক হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। ”
অসংখ্য উদাহরণসমূহের মধ্যে রয়েছে : দহন, থার্মাইট বিক্রিয়া, শক্তিশালী অ্যাসিড এবং ক্ষারক,পলিমারকরণ বিক্রিয়ার সংমিশ্রণ। দৈনন্দিন জীবনের উদাহরণ হিসাবে, হাত উষ্ণকারীরা একটি তাপোৎপাদী বিক্রিয়া অর্জনের জন্য লোহার জারণ ব্যবহার করে:
- 4Fe + 3O2 → 2Fe2O3 Δ H⚬ = – ১৬৪৮ কেজি/মোল
তাপ উৎপাদী বিক্রিয়াগুলির একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণি হাইড্রোকার্বন জ্বালানীর দহন, যেমন: প্রাকৃতিক গ্যাসের জ্বলন:
- CH4+2O2⟶CO2+2H2O ΔH⚬ = – ৮৯০ কেজি/মোল
এই উদাহরণগুলিতে, মুক্তি হওয়া বেশিরভাগ শক্তিই অপেক্ষাকৃত দুর্বল O2 দ্বি-বন্ধনের মধ্যে সঞ্চিত ছিল
তাপোৎপাদী ও তাপহারী বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ
১. যে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে তাপশক্তির শোষণ এবং বিক্রিয়া অঞ্চলের তাপমাত্রা হ্রাস পায় তাকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে। অপরদিকে যে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে তাপশক্তি উৎপন্ন হয় এবং বিক্রিয়া অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তাকে তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলে।
২. তাপহারী বিক্রিয়ায় উৎপাদের মোট এনথালপি বিক্রিয়কের মোট এনথালপি অপেক্ষা বেশি হয়। কিন্তু তাপোৎপাদী বিক্রিয়ায় উৎপাদের মোট এনথালপি বিক্রিয়কের মোট এনথালপি অপেক্ষা কম হয়।
তাপ উৎপাদী ও তাপহারী বিক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও পড়ুন…