Site icon Chemistry Gurukul [ রসায়ন গুরুকুল ] GOLN

টয়লেট্রিজ ও পারফিউমারি: আফটারসেভ, মেহেদি প্রস্তুতির পদ্ধতি

টয়লেট্রিজ ও পারফিউমারি: আফটারসেভ, মেহেদি প্রস্তুতির পদ্ধতি আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “এইচএসসি রসায়ন ১ম পত্র” এর  “কর্মমুখী রসায়ন” ইউনিট ৭ এর অন্তর্ভুক্ত।

 

টয়লেট্রিজ ও পারফিউমারি: আফটারসেভ, মেহেদি প্রস্তুতির পদ্ধতি

আফটার সেভ লোশন ( After Shave Lotion )

সাধারণত পুরুষরা শেভ শেষে আফটারসেভ হিসেবে লোশন, ক্রিম, জেল, বাম (balm), পাউডার বা তরল এন্টিসেপটিক পদার্থ ব্যবহার করে। শেভ করতে কাঁটা গেলে ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে আফটার সেভ ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে এন্টিসেপটিক পদার্থ হিসেবে স্বভাবচ্যুত (Denatared) অ্যালকোহল বা স্টিয়ারেট, সাইট্রেট বিদ্যমান থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেনথলও ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এন্টিসেপটিক পদার্থের জ্বালা (burning Sensation) দূর করার জন্য কিছু আফটারসেভ এ সুগন্ধি পদার্থ বা এসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহার করা হয় ।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এছাড়া ইথানল, স্যালিসাইলিক এসিড, প্রোপাইলিন গ্লাইকল, গ্লিসারিন, সরবিটাল, মিথাইলপ্যারাবিন ল্যানোলিন, সিটাইল অ্যালকোহল, স্টিয়ারিক এসিড, ট্রাইইথানলঅ্যামিন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের আফটার সেভে ব্যবহার করা হয়। ত্বকের জ্বালা দূর করতে প্যানথিনল, প্যানথনিক এসিড, প্যানটথিন বা তাদের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়। সেভ করার পর ত্বকের কোষগুলোর ডিসঅর্ডার (Disorder) এর জন্য যে বিরক্তকর জ্বালা সৃষ্টি হয় তাকে pseodofolli culitis Barbac (PFB) বা রেজর বাম্পস (bumps) বলে। PFB বা রেজর বাম্পস দূর করতে অনেক সময় পভিডোন, আয়োডিন, বেনজাইল পারঅক্সাইড অ্যাসিটাইল স্যালিসাইলিক এসিড, কর্ন স্টার্চ, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, অ্যালোভেরা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

 

 

প্রস্তুতি : আফটার সেভ লোশন তৈরিকৃত ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের একাধিক ফর্মুলা ব্যবহার হয়ে আসছে। একটি ভালো মানের আফটার সেভ লোশনের ফরমূলা নিম্নরূপ :

ফরমূলা :

উপকরণ : মেহেদি ও চা পাতা, তেঁতুল, মেথি, চিনি ইউক্যালিপটাস তেল, মেহেদি তেল, নাইলন কাপড়, ফিল্টার পেপার, ফানেল ইত্যাদি ।

 

মানুষ সৌন্দর্য প্রিয় । মানুষ সব সময় নিজেকে স্মার্ট রাখতে চায়। তাই মানুষ যুগ যুগ ধরে মেহেদির ব্যবহার করে আসছে। সাদা চুলে বা দাড়িতে মেহেদি লাগিয়ে মানুষ চমৎকার সাজে সজ্জিত হয়। মেয়েরা হাতে পায়ে মেহেদির রং লাগায়। এটি হারবাল জাতীয় এবং নিরাপদ। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। মেহেদির মূল উপাদান হলো রেড ব্রাউন রং প্রদানকারী লসোন যৌগ বা 2-হাইড্রোক্সি-1, 4 ন্যাপথাকুইনোন ।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

টুথপেস্ট প্রস্তুত প্রণালি (Preparing Toothpaste) :

দাঁত আমাদের মূল্যবান সম্পদ। দাঁত নিয়মিত পরিষ্কার না করলে মুখে দুর্গন্ধ হয়, দাঁতের মাড়িতে ঘা হয়, দাঁতে খাদ্যকণা লেগে থাকায় তা পচে গিয়ে দাঁতে গর্ত সৃষ্টি হয় ফলে অকালে দাঁত পড়ে যায় কিন্তু পুনরায় গজায় না। তাই দাঁতের যত্ন নিতে টুথপেস্ট এর ব্যবহার ব্যাপক । টুথপেস্ট লাগিয়ে দাঁতে নরম ব্রাশ ব্যবহার করলে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকে । শিক্ষার্থীরা বাসায় গিয়ে বা ল্যাবরেটরিতে বসে টুথপেস্ট তৈরি করতে পারবে। যেসব উপকরণ প্রয়োজন তা টুথপেস্ট তৈরিতে নিম্নের ছকে দেখানো হলো :

পদ্ধতি : গ্লিসারিন ও পানি আনুপাতিক হারে মিশ্রিত করে মিশ্রণকে একটি পাত্রে নিয়ে উত্তপ্ত কর। যতক্ষণ পর্যন্ত মিশ্রণটি ফুটতে আরম্ভ করবে না ততক্ষণ পর্যন্ত তাপ দিতে থাক। মিশ্রণটি ফুটতে শুরু করলে তাপ দেওয়া বন্ধ কর এবং এর মধ্যে অল্প অল্প করে সোডিয়াম স্যাকারিন ও গাম ট্রাগাকাস্থ মিউসিলেজ মিশিয়ে নাড়তে থাক। অতঃপর প্রায় ২৪ ঘণ্টা রেখে দিয়ে পরবর্তীতে নরম কাপড়ে ছেকে নাও। অপর একটি পাত্রে চক পাউডার ও ডাই ক্যালসিয়াম ফসফেটকে উত্তমরূপে মিশিয়ে নাও।

এবার স্যাকারিন, পানি, গ্লিসারিন, গাম ট্রাগাকান্থ মিউসিলেজ মিশ্রণকে 100°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করে এর মধ্যে অপর পাত্রের চক পাউডার ও ডাই ক্যালসিয়াম ফসফেট এর মিশ্রণকে ঢেলে নাড়তে থাক। মিশ্রণটি একটি সমসত্ত্ব মিশ্রণে পরিণত হবে। প্রয়োজনে আরও পানি যোগ কর এবং ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা কর। অতঃপর মিশ্রণে মেনথল ও পিপারমেন্ট ওয়েল মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাক । ঠাণ্ডা অবস্থায় ৪৮ ঘণ্টা রেখে দাও । টুথপেস্ট তৈরি হয়ে গেল। এটিকে প্লাস্টিক টিউবে ভরে লেবেল লাগিয়ে সুন্দর জায়গায় রেখে দাও ।

 

আরও পড়ুন…

Exit mobile version