ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা || এইচএসসি এর রসায়ন

ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা এই বিষয়টি এইচএসসি (একাদশ-দ্বাদশ) তথা HSC (11-12) এর “অধ্যায় ২য় – গুনগত রসায়ন (Chapter 2 – Qualitative chemistry)” এর পাঠ। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার রসায়ন পাঠ্যক্রমেও রয়েছে।

 

ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা

 

পরমাণুতে অবস্থিত ইলেকট্রনের কক্ষপথ বা শক্তিস্তরের আকার, আকৃতি,ত্রিমাত্রিক বিন্যাস এবং নিজ অক্ষের চতুর্দিকে আবর্তনের দিক প্রকাশক সংখ্যাসমূহকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে। কোয়ান্টাম সংখ্যা দ্বারা কোনো পরমাণুর ইলেকট্রন এর সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা যায়।

পরমাণুর কোনো একটি ইলেকট্রন কোন শক্তিস্তরে অবস্থান করছে , শক্তি স্তরটি বৃত্তাকার না উপবৃত্তাকার এবং ইলেকট্রনটি তার নিজ অক্ষের চতুর্দিকে ঘড়ির কাটার দিকে না বিপরীত দিকে আবর্তন   করছে, এসব বিষয় পরমাণুর কোয়ান্টাম সংখ্যা দ্বারা জানা যায়।

 

ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম

 

চৌম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা (Magnetic Quantum Number)

যে কোয়ান্টাম সংখ্যার সাহায্যে পরমাণুতে আবর্তনকারী ইলেকট্রনের কক্ষপথের ত্রিমাত্রিক দিক বিন্যাস প্রকরণ সমূহ প্রকাশ করা হয়, তাকে ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা বা চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।

পরমাণুর কেন্দ্রে ধনাত্মক চার্জযুক্ত নিউক্লিয়াস ও কক্ষপথে ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন থাকার কারণে পরমাণুর অভ্যন্তরে একটি বিদ্যুৎ ক্ষেত্র এবং এর প্রভাবে চুম্বকক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। এ চুম্বকক্ষেত্রের প্রভাবে ইলেকট্রনের বিভিন্ন অরবিটালের ত্রিমাত্রিক দিক প্রকরণ বা অরিয়েন্টেশন (Orientation) ঘটে। বিজ্ঞানী জিম্যান চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যার ধারণা দেন।

একে m দ্বারা প্রকাশ করা হয়। m এর মান ℓ এর মানের ওপর নির্ভরশীল এবং তা -ℓ থেকে 0 সহ +ℓ পর্যন্ত হয়ে থাকে। সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা ℓ এর যে কোনাে মানের জন্য m এর মান (2ℓ +1) সংখ্যক হয়। চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা m এর মােট মান দ্বারা পরমাণুর উপশক্তিস্তরে মােট অরবিটাল সংখ্যা বােঝায়।

 

https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMO2Dtgsw-p7NAw?hl=en-US&gl=US&ceid=US:en

 

যেমন- ℓ = 1 হলে  m= -1,0,1 হয় এবং এর অরবিটাল হবে ৩ টি। মূলত এই -1,0,1 ত্রিমাতৃক স্থানে p উপশক্তিস্তরের সম্ভাব্য স্থান নির্দেশ করে। এই ক্ষেত্রে -1,0,1 মান দ্বারা x,y,z অক্ষে পরমাণুর অরবিটালের সম্ভাব্য স্থান Px, Py এবং Pz-কে নির্দেশ করছে।

তেমনি, s উপস্তরের অরবিটাল সংখ্যা, m= 2ℓ +1 = (2×0)+1 = 1 টি

p উপস্তরের অরবিটাল সংখ্যা, m= 2ℓ +1 = (2×1)+1 = 3 টি

d উপস্তরের অরবিটাল সংখ্যা, m= 2ℓ +1 = (2×2)+1 = 5 টি

f উপস্তরের অরবিটাল সংখ্যা, m= 2ℓ +1 = (2×3)+1 = 7 টি

কোনো পরমাণুর প্রধান শক্তিস্তর(n) এর জন্য n2 সংখ্যক অরবিটাল থাকে। আবার প্রতিটি অরবিটালে সর্বোচ্চ 2 টি করে ইলেকট্রন থাকে, ফলে ঐ প্রধান শক্তিস্তরে মোট ইলেকট্রন সংখ্যা হবে 2n2  টি ।

 

পারমাণবিক সংখ্যা

 

ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও পড়ুন…

Leave a Comment