Site icon Chemistry Gurukul [ রসায়ন গুরুকুল ] GOLN

সক্রিয় যোজ্যতা ও সুপ্ত যোজ্যতা || পলিটেকনিক রসায়ন

সক্রিয় যোজ্যতা ও সুপ্ত যোজ্যতা  এই বিষয়টি “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” এর, “পলিটেকনিক” টেকনোলোজিগুলোর, রসায়ন (৬৫৯১৩) সাবজেক্ট এর অংশ। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার রসায়ন পাঠ্যক্রমেও রয়েছে।

সক্রিয় যোজ্যতা ও সুপ্ত যোজ্যতা

 

 

সুপ্ত যোজনী কাকে বলে? কিভাবে নির্ণয় করা যায়?
কোন মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী ও সক্রিয় যোজনীর মধ্যে পার্থক্যকে ঐ মৌলের সুপ্ত যোজনী বলে।
সক্রিয় যোজনী বলতে মৌলটি কোন যৌগ গঠন অবস্হায় যে যোজনী ব্যবহার করে তা ঐ মৌলের সক্রিয় যোজনী।যেমন-H₂SO₄ এ S – এর সক্রিয় যোজনী 6, আবার H₂S এ S এর সক্রিয় যোজনী ২,আবার SO₂ এ S এর সক্রিয় যোজনী 4.
S এর সর্বোচ্চ যোজনী 6.
সুপ্ত যোজনী নির্ণয়ঃ H₂SO₄ এ S এর সুপ্ত যোজনী=(S এর সর্বোচ্চ যোজনী)-(S এর সক্রিয় যোজনী)=6-6=0.
আবার H₂Sএ S এর সুপ্ত যোজনী=(S এর সর্বোচ্চ যোজনী)-(S এর সক্রিয় যোজনী)=6-2=4.আবার SO₂ এ S এর সুপ্ত যোজনী=(S এর সর্বোচ্চ যোজনী)-(S এর সক্রিয় যোজনী)=6-4=2.
PCl₃এ P এর সুপ্ত যোজনী=(P এর সর্বোচ্চ যোজনী)-(P এর সক্রিয় যোজনী)=5-3=2. FeCl₃এ Fe এর সুপ্ত যোজনী =(Fe এর সর্বোচ্চ যোজনী)-(Fe এর সক্রিয় যোজনী)=3-3=0.FeCl₂ এ Fe এর সুপ্ত যোজনী=(Fe এর সর্বোচ্চ যোজনী)-(Fe এর সক্রিয় যোজনী) = 3-2=1.
সাধারনত যে সব মৌলের একাধিক যোজনী বিদ্যামান সেই মৌল গুলির সুপ্ত যোজনী নির্ণয় করা হয়।

সক্রিয় যোজনী ও সুপ্ত যোজনীর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ

  • কোন যৌগ গঠন করার সময় মৌলসমূহের ব্যবহৃত যোজনীকে সক্রিয় যোজনী বলে। অপরদিকে, মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী এবং সক্রিয় যোজনীর বিয়োগফলকে উক্ত যৌগে মৌলটির সুপ্ত যোজনী বলে।
  • সক্রিয় যোজনী শূন্য হতে পারে না। কিন্তু, সুপ্ত যোজনী শূন্য হতে পারে।

 

 

যোজনী বা যোজ্যতা

 

পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিভিন্ন মৌলের পরমাণুসমূহ একে অপরের সাথে সর্বশেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন বর্জন, গ্রহণ অথবা ভাগাভাগির মাধ্যমে অণু গঠন করে। অণু গঠনকালে কোনো মৌলের একটি পরমাণুর সাথে অপর একটি মৌলের পরমাণু যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে যোজনী বা যোজ্যতা বলা হয়।
সাধারণত সব সময় হাইড্রোজেনের যোজনী এক (1) ধরা হয়। কোনো মৌলের একটি পরমাণু যতগুলো H পরমাণু বা Cl পরমাণুর সাথে যুক্ত হতে পারে সেই সংখ্যাই হলো ঐ মৌলের যোজনী বা যোজ্যতা।
হাইড্রোজেনের একটি পরমাণু ক্লোরিনের একটি পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে HCl অণু গঠিত হয়, তাই ক্লোরিনের যোজনীও 1 (এক)। আবার অক্সিজেনের একটি পরমাণু হাইড্রোজেনের দুটি পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে H2O তৈরি করে, এজন্য অক্সিজেনের যোজনী 2 (দুই)। একটি Na পরমাণু একটি C1 পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে Nacl গঠিত হয়। সুতরাং Na এর যোজনী 1 (এক)।
একটি পরমাণুর সাথে যতটি অক্সিজেন পরমাণু যুক্ত হয় তার সেই সংখ্যার দ্বিগুণ করলে ঐ পরমাণুর যোজনী বা যোজ্যতা হয়। যেমন : ক্যালসিয়াম (Ca) এর একটি পরমাণু একটি অক্সিজেন (O) পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO) তৈরি করে। এখানে অক্সিজেন পরমাণুর সংখ্যা 1 এই সংখ্যাকে 2 দ্বারা গুণ করলে হয় 2। কাজেই ক্যালসিয়ামের যোজনী 2 ।
কিছু কিছু মৌলের একাধিক যোজনী থাকে। কোনো মৌলের একাধিক যোজনী থাকলে সেই মৌলের যোজনীকে পরিবর্তনশীল যোজনী বলা হয়। যেমন: Fe এর পরিবর্তনশীল যোজনী 2 এবং 3 ।
কোনো মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী এবং সক্রিয় যোজনীর পার্থক্যকে ঐ মৌলের সুপ্ত যোজনী বলা হয়। যেমন: FeCl2 যৌগে Fe এর সক্রিয় যোজনী 2 কিন্তু Fe এর সর্বোচ্চ যোজনী ও অভএব FeCl2 যৌগে Fe এর সুপ্ত যোজনী 3 – 2-1। আবার FeCl, যৌগে Fe এর সক্রিয় যোজনী ও কিন্তু Fe এর সর্বোচ্চ 3 যোজনী 3, অতএব FeCl, যৌগে Fe এর সুপ্ত যোজনী 3 – 3=0 ।

 

সক্রিয় যোজ্যতা ও সুপ্ত যোজ্যতা নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও পড়ুন…

Exit mobile version