পরীক্ষার মাধ্যমে পানির ডাইপোলের উপস্থিতি প্রমাণ আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “এইচএসসি রসায়ন ১ম পত্র” এর “ব্যবহারিক রসায়ন” ইউনিট ৯ এর অন্তর্ভুক্ত।
পরীক্ষার মাধ্যমে পানির ডাইপোলের উপস্থিতি প্রমাণ
পরীক্ষার মাধ্যমে পানির ডাইপোলের উপস্থিতি প্রমাণ
তত্ত্ব ঃ পোলার দ্রব পোলার দ্রাবকে এবং অপোলার দ্রব অপোলার দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়ে থাকে। নিচে পরীক্ষার সাহায্যে পানিতে যে ডাইপোল বিদ্যমান তা পর্যবেক্ষণ করা যাবে। দুটি পাত্রের একটিতে পানি এবং অপরটিতে সমপরিমাণ কেরোসিন তেল নিয়ে উভয় পাত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য লবণ NaCl যোগ করলে নিম্নলিখিত পর্যবেক্ষণ লক্ষ্য করা যায়।
প্রয়োজনীয় রাসায়নিক উপকরণ: কেরোসিন, পাতিত পানি ও খাদ্য লবণ (NaCl)।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি: বিকার, গ্লাস রড ইত্যাদি।
কার্যপ্রণালী:
১। পাত্র A যার মধ্যে পানি রয়েছে তাতে খাদ্য লবণ NaCl যোগ করলে তা দ্রবীভূত হয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে ।
২। পাত্র B যার মধ্যে কেরোসিন তেল আছে সেক্ষেত্রে খাদ্য লবণ দ্রবীভূত না হয়ে পাত্রের নিচে জমা হয়ে আছে।
৩। কেরোসিন একটি জৈব দ্রাবক এবং সমযোজী বন্ধন বিশিষ্ট যৌগ, এর মধ্যে বিদ্যমান মৌলগুলোর মধ্যে ইলেকট্রনের প্রতি আকর্ষণ সকল মৌলের সমান। কেরোসিনের মধ্যে অণুগুলোর কোনো প্রান্ত সৃষ্টি হয় না যার কারণে ধনাত্নক ও ঋণাত্নক প্রান্ত বিশিষ্ট আয়নিক যৌগ খাদ্য লবণ (NaCl) দ্রবীভূত হয় না ।

৪। অপরদিকে পানি একটি অজৈব দ্রাবক ও সমযোজী বন্ধনবিশিষ্ট যৌগ। পানিতে বিদ্যমান মৌলগুলোর মধ্যে ইলেকট্রনের প্রতি আকর্ষণের পার্থক্য দেখা যায়। এ কারণে পানির অণুর এক প্রান্তে আংশিক ধনাত্নক এবং অপর প্রান্ত আংশিক ঋণাত্নক হয়। খাদ্য লবণ (NaCl) এর Na+ অংশ পানির ঋণাত্নক প্রান্ত অক্সিজেন দ্বারা আকর্ষিত এবং CI অংশ পানির ধনাত্নক প্ৰান্ত হাইড্রোজেন দ্বারা আকৃষ্ট হয়। NaCl এর বিপরীত আয়নসমূহের মধ্যে আকর্ষণ সিথিল হয়ে যায় এবং আয়নসমূহ দ্রাবক পানির অণু দ্বারা বেষ্টিত হয় এবং দ্রবীভূত হয়, যা পানির পোলার ধর্মকে প্রমাণ করে ।
আরও পড়ুন…