প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা এই বিষয়টি এইচএসসি (একাদশ-দ্বাদশ) তথা HSC (11-12) এর “অধ্যায় ২য় – গুনগত রসায়ন (Chapter 2 – Qualitative chemistry)” এর পাঠ। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার রসায়ন পাঠ্যক্রমেও রয়েছে।
Table of Contents
প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা
কোয়ান্টাম সংখ্যা (Quantum number)
পরমাণুতে অবস্থিত ইলেকট্রনের কক্ষপথ বা শক্তিস্তরের আকার, আকৃতি,ত্রিমাত্রিক বিন্যাস এবং নিজ অক্ষের চতুর্দিকে আবর্তনের দিক প্রকাশক সংখ্যাসমূহকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে। কোয়ান্টাম সংখ্যা দ্বারা কোনো পরমাণুর ইলেকট্রন এর সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা যায়।
পরমাণুর কোনো একটি ইলেকট্রন কোন শক্তিস্তরে অবস্থান করছে , শক্তি স্তরটি বৃত্তাকার না উপবৃত্তাকার এবং ইলেকট্রনটি তার নিজ অক্ষের চতুর্দিকে ঘড়ির কাটার দিকে না বিপরীত দিকে আবর্তন করছে, এসব বিষয় পরমাণুর কোয়ান্টাম সংখ্যা দ্বারা জানা যায়।
কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রকারভেদ
কোন পরমাণুর সঠিক অবস্থান নির্ণয় করার জন্য সাধারণত চার ধরনের কোয়ান্টাম সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। যথা-
১। প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা
২। সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা
৩। চৌম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা
৪। স্পিন বা ঘূর্ণন কোয়ান্টাম সংখ্যা
প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা (Principle Quantum Number)
যে কোয়ান্টাম সংখ্যার সাহায্যে কোন পরমাণুতে অবস্থিত ইলেকট্রনের শক্তিস্তরের আকার নির্ণয় করা যায় তাকে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে। একে n দ্বারা প্রকাশ করা হয়, যেখানে n হলো একটি ধনাত্মক পূর্ণ সংখ্যা(n=1,2,3,4…)।
বোর পরমাণু মতবাদ অনুসারে,
n=1 হলে তা ১ম শক্তিস্তর বা K শেল নির্দেশ করে,
n=2 হলে তা ২য় শক্তিস্তর বা L শেল নির্দেশ করে,
n=3 হলে তা ৩য় শক্তিস্তর বা M শেল নির্দেশ করে,
n=4 হলে তা ৪র্থ শক্তিস্তর বা N শেল নির্দেশ করে,
n=5 হলে তা ৫ম শক্তিস্তর বা O শেল নির্দেশ করে।
প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার n মান বৃদ্ধির সাথে সাথে নিউক্লিয়াস হতে প্রধান শক্তিস্তরের দূরত্ব এবং শক্তিস্তরের আকার বৃদ্ধি পায়। প্রধান কোয়ান্টাম- সংখ্যা n এর মান দ্বারা কোন শক্তিস্তরের মোট ধারণকৃত ইলেকট্রন সংখ্যা নির্ণয় করা যায়। পরমাণুর যে কোনো প্রধান শক্তিস্তর সর্বোচ্চ 2n² ইলেকট্রন ধারণ করতে পারে।
কোয়ান্টাম সংখ্যা ও প্রকারভেদ :
প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও পড়ুন…