পেপার ক্রোমাটোগ্রাফির সাহায্যে মিশ্রণ থেকে যৌগ পৃথকীকরণ

পেপার ক্রোমাটোগ্রাফির সাহায্যে মিশ্রণ থেকে যৌগ পৃথকীকরণ আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “এইচএসসি রসায়ন ১ম পত্র” এর  “ব্যবহারিক রসায়ন” ইউনিট ৯ এর অন্তর্ভুক্ত।

 

পেপার ক্রোমাটোগ্রাফির সাহায্যে মিশ্রণ থেকে যৌগ পৃথকীকরণ

ক্রোমাটোগ্রাফির সাহায্যে (চক/ফিল্টার পেপার) মিশ্রণ থেকে যৌগ পৃথক করা

চক ক্রোমাটোগ্রাফির মূলনীতিঃ চক ক্রোমাটোগ্রাফি হলো মূলত একটি কলাম ক্রোমাটোগ্রাফি। চক (CaCO3) কে স্থির সমাবস্থা শোষক রূপে ব্যবহার করা যায়। চক স্টিকের ওপর যৌগের মিশ্রণকে (যেমন কালি, খাদ্য-রঞ্জক) প্রয়োগ করলে উপাদানসমূহ প্রকৃতি অনুসারে চক দ্বারা বিভিন্ন মাত্রায় শোষিত হয়। পরে চলনশীল সমাবস্থা রূপে পানি, অ্যালকোহল ইত্যাদি পোলার দ্রাবক যখন চকের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন মিশ্রণের উপাদানসমূহ ঐ দ্রাবকে এদের দ্রাব্যতা অনুসারে চকের ওপর বিভিন্ন অংশে পৃথক হয়ে পড়ে এবং চক স্টিকটি বর্ণিল হয়ে পড়ে।

প্রয়োজনীয় রাসায়নিক উপকরণ : ১। সাদা স্টক স্টিক-২টি, ২। কলমের কালি অথবা মার্কার, ৩। পানি, 25% ইথানল বা মিথানল (পানিতে)।

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:

১। বিকার: 100 mL এবং 250mL এর দুটি বিকার,

২। পরিমাপাক সিলিন্ডার: 10 mL এর একটি পরিমাপক সিলিন্ডার,

৩। সরু চিকন কাঠি বা টুথপিক (কালি বা রঞ্জক প্রয়োগ মাধ্যম),

৪ । স্কেল, পেন্সিল ইত্যাদি।

কার্যপদ্ধতি :

১। চিত্রের অনুরূপ, চক স্টিকের মোটা অংশের তলদেশ একটু ঘষে সমান করে নিন যেন ছোট বিকারে রাখার সময় কাত হয়ে না পড়ে ।

২। চক স্টিকের মোটা অংশের প্রান্ত থেকে 1.5 cm উপরে পেন্সিল দিয়ে চারদিক ঘুরিয়ে ‘গোল ভিত্তি রেখা’ টানুন।

৩। এবার টুথপিক বা সরু চিকন কাঠি দিয়ে চকের গোল ভিত্তি রেখা বরাবর কলমের কালির ফোঁটা গোল আকারে দিন । [অথবা মার্কার কলমের সরু মুখে গোল কালি রেখা টানুন।] এবং শুকিয়ে নিন। [মার্কার কালি পানিতে অদ্রবণীয়, অ্যালকোহলে দ্রবণীয়।]

৪। এবার ছোট বিকারে 25% ইথানল বা মিথানল 1.0 cm উচ্চতা পর্যন্ত ঢালুন। এখন নমুনা কালি যুক্ত চক স্টিকারটি বিকারটিতে খাড়া করে রাখুন। দেখে নিন কালির স্পট দ্রাবক বা ইলিউয়েন্ট (eluent) এর উপর থাকছে কিনা, তা না হলে দ্রাবকের পরিমাণ কমিয়ে নিন ।

৫। দ্রাবকের বাষ্পীভবন রোধ করার জন্য বিকারটির ওপর একটি কাগজের টুকরা দিয়ে ঢেকে দিন।

 

https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMO2Dtgsw-p7NAw?hl=en-US&gl=US&ceid=US:en
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

৬। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কালির উপাদান চক স্টিকের ওপর দিকে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে।

৭। এবার চক স্টিকের শেষ মাথায় দ্রাবক ফ্রন্ট (solvent front) পৌছার সাথে সাথে চক স্টিকটি উঠিয়ে নিন।

৮। চকটি শুকিয়ে নিন। এখন পেন্সিলের দাগের গোল ভিত্তি রেখা থেকে চকের উপরের শেষ প্রান্তের দূরত্ব (c) মেপে নিন। এরপর কালির উপাদানসমূহের অতিক্রান্ত দূরত্ব (a, b) মেপে নিন।

৯। পৃথক হওয়া উপাদানসমূহের R, মান (solvent front)

যৌগ পৃথকীকরণ

১০ । প্রত্যেক উপাদানের Rj মান নির্দিষ্ট; তাই R মান থেকে উপাদান শনাক্ত করা সহজ হয় ।

সতর্কতা:

১ । বিকারটি কাগজ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে, যাতে দ্রবণের বাষ্পীভবন না হয় ।

২। চক উৎকৃষ্ট মানের হতে হবে ।

 

আরও পড়ুন…

Leave a Comment